বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

বাংলাদেশের ফুল-Flower of Bangladesh

              বাংলাদেশের ফুল-Flower of Bangladesh

মেহেদী ফুল

ফুল নামটা শুনলেই যেন সুন্দর একটি দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে। ফুল  ভালবাসে না এমন মানুষ খুব কমই আছে এই পৃথিবীতে। সব জাতি ধর্ম নির্বিশেষের মানুষ ফুলকে পবিত্রতার প্রতিক মনে করে। ফুল যেমন সুন্দর তেমনি ফুলের সুগন্ধ আমাদের মুগ্ধ করে । ফুল প্রেমী হাজার মানুষ রয়েছে । 

বাংলাদেশ ফুলের এক অবয়ব লিলাভূমি। এখানে হাজারো ধরনের ফুলের আবাস। মূলত বাংলাদেশের উর্বর মাটি ফুলদের এদেশে জন্মাতে উৎসাহিত করেছে। এই দেশের আনাচে-কানাচে বন জঙ্গলে হাজারো ধরনের ফুল ফোটে। বাংলাদেশের আবাসিক ফুল ছাড়াও অনেক বিদেশি ফুল দেখা যায়। 

বসন্ত কালে আমাদের বাংলাদেশ সাজে ফুলের অপুরুপ সৌন্দর্যে। পথে ঘাটে বন জঙ্গলে দেখা মেলে হাজারো ধরনের বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। নাম জানা অজানা এই ফুল শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরং মুগ্ধ করে সব মানুষদের। 


বাংলাদেশে হাজারো ধরনের ফুলের মধ্যে শাপলা জাতীয় ফুল হিসাবে পরিচিত। মুলত বাংলাদেশের সব জায়গাতে পাওয়া যায় বলে শাপলা আমাদের কাছে খুব পরিচিত। তাছাড়া হাজার বাহারি রঙের ফুল পাওয়া যায় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে যেহেতু ৬ ঋতু তাই বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন প্রকার ফুলের দেখা মেলে। তবে বসন্ত কালে বেশি ফুল ফোটে। 



বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭

সেকরা বসন্ত-Coppersmith Barbet(Crimson-breasted Barbet).

             সেকরা বসন্ত-Coppersmith Barbet


সেকরা বসন্ত বাংলাদেশের একটি দুর্ল্ভ আবাসিক পাখি প্রজাতি। অনেকের কাছে সেকরা বসন্ত নামটি একেবারে অপরিচিত। বাংলাদেশের অঞ্চল্ভেদে এই পাখিটিকে ছোট বসন্ত বা বাউরি নামেও ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Megalamia haemacephala.। আর ইংরেজিতে Coppersmith Barbet নামে ডাকা হয়।

সেকরা বসন্ত পাখি প্রজাতির সমপ্রজাতি ৫ টি পাখি বাংলাদেশে রয়েছে। সারা পৃথিবীতে মোট ২৪টি প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতিগুলো হল, নীলগলা বসন্ত, নীলকান বসন্ত, দাগি বসন্ত, বড় বসন্ত ও সেকরা বসন্ত। 


সেকরা বসন্ত সবুজ রঙের অপরুপ সুন্দর খুদে বৃক্ষচারি পাখি। তবে প্রাপ্ত বয়সে রঙের কিছুটা বৈচিত্র লক্ষ করা যায়। প্রাপ্ত সেকরার গাঢ় লাল কপালসহ পিঠ ঘাসের মত সবুজ। গাঢ় লাল ও কালো বুকের পট্টিসহ গলা হলুদ; সবুজ ডোরাসহ বুকের তলের অবশেষ ফ্যাকাশে; কালো লাইন চোখের উপরের ও নিচের হলুদ পট্টিকে আলাদা করেছে। এর ঠোঁট ঘন-বাদামি। বা কালো। মূখ ফ্যাকাশে পাটল –ধূসর; পা ও পায়ের পাতা প্রবাল লাল এবং নখর কালো। অপ্রাপ্ত পাখির ক্ষেত্রে গলার কালো ও বুকের পট্টি থাকে না। সকল প্রজাতির মধ্যে M.h. indica  বাংলাদেশে পাওয়া যায়। 


সেকরা বসন্ত সাধারনত পাতাঝরা বন, গাছপালাসমৃদ্ধ অঞ্চল, রাস্তার পাশের গাছপালা, গ্রাম ও শহরের বাগানে দেখতে পাওয়া যায়। এরা মূলত একা, জোড়ায় ফলাহারি পাখিদের দলে দেখা যায়। পুরোনো বৃক্ষে বিশেষত বট গাছে এদের বেশি দেখা যায়। গাছ গাছালির ফল খেয়ে এরা জীবন যাপন করে। এরা অনেক সময় উইপোকাও খেয়ে থাকে। 


সেকরা বসন্ত  চঞ্চল প্রকৃতির পাখি। গাছের মগডালে চলাফেরা করতে ভালবাসে এই পাখি। এদের প্রজননকাল নভেম্ব্র –জুন মাস। পুরোন গাছের ডালে বা গাছের মরা ডালে গর্ত করে বাসা করে ডিম পাড়ে। ডিমের রং সাদা হয়। সংখায় ২-৪ টি। বাসার সকল কাজ পুরুষ ও নারী পাখি মিলে করে।
সেকরা বসন্ত মুলত বাংলাদেশের আবাসিক পাখি। দেশের সব জেলাতেই এদের দেখা মেলে। পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভূটানসহ সকল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এদের বিস্তৃতি রয়েছে। সেকরা বসন্ত  বাংলাদেশে বিপদ্মুক্ত বলে মনে করা হয়। 



মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

দোয়েল- (Magpie-robin)

                      দোয়েল- Magpie-robin

দোয়েল পাখি চিনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কয়েকটি কারণে দোয়েল আমাদের কাছে বেশি পরিচিত । এর মধ্যে একটি দোয়েল বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই দেখা মেলে এই পাখিটির। এককথায় বলা যায় যে দোয়েল আমাদের প্রতিবেশি।


দোয়েল পাখি Passeriformes বর্গের অন্তর্গত  Muscicapidae গোত্রের সদস্য। সাদা কালোয় সুসজ্জিত বুলবুল প্রকৃতির খাটো লেজবিশিষ্ঠ এ পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis । পুরুষ ও নারী পাখির ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ করা যায়। পুরুষ দোয়েলের উপরিভাগ চকচকে নীলাভ-কালো বর্ণের হয়ে থাকে। দোয়েলের ডানা স্পষ্ঠ সাদা লম্বা একটি দাগসহ কালচে বাদামি রঙের । লেজ কালো তবে লেজের শেষ প্রান্তঅংশ সাদা। নারী দোয়েলের দেহের কালো অংশ গুলো বাদামি রঙের হয়ে থাকে। অনেক সময় ময়লা মাটির মত দেখায়। গাছের ডালে বা বড় গাছের গর্তে, ঝোপঝাড়ে এরা বাসা বাঁধে। দোয়েল জোড়ায় জোড়ায় থাকতে ভালবাসে। এদেরকে বন, ঝোপঝাড়, আম বাগান্‌, গ্রাম, লোকালয়ে দেখতে পাওয়া যায়। 


এদেরকে অনেক সময় বিভিন্ন শাক-সব্জির মাচানে দেখা যায়। দোয়েল মূলত তার মিষ্ঠি কন্ঠের জন্য বিশেষ ভাবে সুপরিচিত। বাড়ির আশপাসে, উঠানে, বা মাচায় এরা মিষ্ঠি সুরে শিস দেয় এবং অপুরুপ ভঙ্গিতে লেজের ডগা নাচায়।দোয়েল যখন স্থির ভাবে বসে থাকে তখন এর লেজ মোরগের লেজের মত দেখায়।

প্রজননের মৌসুমে পূরুষ দোয়েল খুব ভোরবেলা এবং পড়ন্ত দুপুরবেলা সুরেলা গলায় অত্যন্ত জোরে শিস দেয়। চমৎকার বিষয় হল এরা অনায়েশে অন্য পাখির ডাক নকল করতে পারে। এরা সাধারনত পোকা-মাকড়, কীটপতঙ্গ খেয়ে জীবন যাপন করে। দোয়েলের প্রজনন ঋতু শুরু হয় এপ্রিল মাসে এবং শেষ হয় জুলাই মাসে। নারী দোয়েল ৪-৬টি ডিম দেয়।  সাদারণত ডিমগুলো ফ্যাকাশে দেখায়। তবে দোয়েলের ডিমের রং লালচে বাদামি আভা ও ছোপযুক্ত সবুজ নীলাভ সবুজ় হয়ে থাকে। নারী দোয়েল দিমে তা দেয় পুরুষ দোয়ল সাহায্য করে। দোয়েল পাখি সাধারনত ১৫ বছর পর্যন্ত বাচেঁ। 


সাহেব বুলবুলি | দুধরাজ-Asian Paradise Flycather


দুধরাজ নামটা অনেকের কাছে পরিচিত আবার অনেকের কাছে অপরিচিত ।দুধরাজ বা সাহেব বুলবুলি একটি অপরুপ সুন্দর পাখির নাম । অপরুপ সুন্দর এই পাখিটি দেখলে আপনার মনে হবে কোনো দিন দেখেন নি এই পাখিটি । চোখে পড়লে নজর ফেরানো যায় না । আর যখন সে ওড়ে সে দৃশ্য যে কত অপরুপ বলে বোঝানো যাবে না । মনে হবে হয়ত আপনি কোন ছবি দেখছেন । পাখিটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি দেখা পাওয়াও তেমনি দুর্লভ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অঞ্চল্ভেদে পাখিটিকে দুধরাজ, সাহেব বুলবুলি , শাহ বুলবুলি, ও নন্দন পাখি নামেও পরিচিত। দেখতে বুল্বুলির মত মনে হলেও বুল্বুলির সমগত্রীয় নয় এ পাখিটি। 


সাহেব বুল্বুলিকে ইংরেজিতে Asian Paradise Flycather নামে ডাকা হয় । তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম Terpsiphone paradise ( টেপসিফোন প্যারাডিসি)।
পাখি বলতেই সুন্দর একটি আকৃতি আমাদের সামনে আসে। সুদীর্ঘ লেজ দুধরাজ পাখিটির শারীরিক সৌন্দর্য  বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে । লেজের জন্যই পাখিটি মুলত বেশি পরিচিত পেয়েছে । দুধরাজের লেজে দুটি পালক থাকে যা তার সৌন্দর্যকে নিয়ে যায় অন্য এক সীমানায়। লম্বা লেজের জন্য পাখিটিকে তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। দুধরাজের লম্বা লেজ মূলত পাখি প্রেমিদের বেশি আকৃষ্ঠ করে।

ঠোঁট থেকে লেজ পর্যন্ত এর দৈঘ্য ১৯ থেকে ২২ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। লেজের প্রান্ত থেকে লম্বা পালক দুটির মাপ ২২ থেকে ২৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে ওড়ার সময় সুবিধা মত নাড়াতে পারে তার পালক এবং লেজকে।
দুধরাজের কয়েকটি প্রজাতি লক্ষ করা যায়। সাধারনত দুটি প্রজাতি বাংলাদেশে বেশি দেখা যায় । এক প্রজাতির পাখির রং সাদা কালো , বিশেষত এই রঙের পাখির মাথা কালো এবং পুরো শরীর সাদা হয়। মূলত দুধের মত সাদা লেজ ও শরীর হওয়ার জন্যই একে দুধরাজ বলা হয়। অপর প্রজাতির রং লালচে বাদামি হয়। এদের মাথার রং চুকচুকে কালো ও লেজ এবং শরীরের রং লালচে বাদামি ।



তবে উভয় প্রজাতির রং আলাদা হলেও দেখতে একই রকমের হয়। নারী পাখিগুলো দেখতে অনেকটা আলাদা। দেখে মনে হবে অন্য ধরনের পাখি এদের পুরুষ পাখির মত লম্বা লেজ নাই। সাধারন বুল্বুলি পাখির মতই দেখতে হয় এরা তবে রং পুরুষ পাখির মতই।
দুধরাজ পাখি সাধারনত চঞ্চল প্রকৃতির, কোথাও স্থির ভাবে বেশি সময় থাকে না । উড়তে খুব ভালবাসে বলে পাখিটি দেখতে হলে খুব ধৈয্যের প্রয়োজন হয়। এই পাখি দম্পত্তি এক সাথে থাকতে খুব ভালবাসে। খুব সুন্দর ও যত্ন করে গাছের ডালে বা বাঁশঝাড়ে বাসা বানায় এরা। ঘাস,লতাপাতা, মাকড়সার জাল দিয়ে বানানো বাসা দূর থেকে খুব চমৎকার দেখায়।
 

এরা বাঁশঝাড়ে থাকতে বেশি পছন্দ করে তবে অনেক সময় আম কাঁঠালের বাগানেও দেখা মেলে।
দুধরাজের প্রিয় খাবার বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়। উড়ন্ত পোকা ধরতে এরা খুব পারদর্শী। তবে এদের কন্ঠ কিছুটা ভারি ও কর্কশ ধরনের। প্রজনন মৌসুমে মিষ্ঠি সুরে ডাকাডাকি করে। তাদের প্রজনন মৌসুম শুরু হয় বৈশাখ মাসে। চার থেকে ছয়টি ডিম দিয়ে থাকে। দুধরাজ ১০-১৪ বছর বেচেঁ থাকে।
এরা মূলত সুন্দর বনের পাখি কিন্তু লোকালয়েও এদের যথেষ্ঠ দেখা যায়। সারা দেশে পাওয়া গেলেও পঞ্চগড় ও উত্তরাঞ্চলে এদের বেশি দেখা যায়। তবে আফসোসের বিষয় দিন দিন কমে যাচ্ছে সুন্দর এই পাখিটি প্রকৃতি থেকে। 


সোমবার, ২৬ জুন, ২০১৭

পায়রা


ছোট থেকে আমার খুব শখ ছিল আমি পায়রা পালন করব । কিন্তু টাকা , জায়গার জন্য তেমন সুযোগ হচ্ছিল না । গ্রামে বাসা তাই আমাদের অনেক কিছু মেনে চলতে হয় । বিশেষ করে পরিবারের আয় এবং ব্যয় । অবশেষে এক দিন আমার পায়রা কেনার টাকা হল । এখন আমার বাসায় ১৪ জোড়া পায়রা আছে ।

আসুন পায়রা সম্পর্কে জেনে নেইঃ
পায়রা বাংলাদেশসহ প্রায় সারা পৃথিবীতে দেখা যাই । বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে পায়রা আদিম কাল থেকে পাওয়া যেত । বাংলাদেশে প্রথম পায়রা আনেন হযরত শাহজালাল (রঃ) । পরবর্তীতে তার আনা পায়রা গুলো  জালালি পায়রা নামে খ্যাতি পায় ।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পায়রাকে বিভিন্ন নামে ডাকে যেমন পায়রা, কবুতর ,বাকবাকুম ।


বাংলাদেশে পায়রার অনেক প্রজাতি পাওয়া যাই। যেমন জালালি , সিরাজি , লোটন ,গিরিবাজ , গোলা , ইত্যাদি । পায়রা সাধারনত গূহপালিত পাখি । অনেক সময় পায়রা একা একা বাস করে । বাংলাদেশের অনেক মানুষ শখ করে পায়রা পালন করে বলে পায়রাকে শখের পায়রা বলেও ডাকা হয় ।

পায়রার প্রজাতি হিসাবে তারা বাচ্চা ও ডিম দেয়  । সাধারনত গোলা কবুতর বছরে ১০ থেকে ১২ জোড়া বাচ্চা দেয় । সিরাজি জালালি কবুতর ৫ থেকে ৬ জোড়া বাচ্চা দেয় ।


কিভাবে প্রতিপালন করবেনঃ

পায়রা পালন করা প্রায় সব মানুষেয় শখ থাকে । গ্রাম শহর সব জায়গাই শখ করে পায়রা পালন করা হই । আপনিও পালন করতে পারেন শখের পায়রা । তবে কিছু নিয়ম মানলে পায়রা পালন করা আপনার জন্য সহজ হবে।


যেমন-পায়রা সাধারনত বর্ষা কালে খুব  যত্ন  নিতে হয় । এ সময় পায়রার খুব রোগ বালাই হয় তাই এ সময় পায়রা পালন শুরু করা ঠিক নয় । কারন নতুন জায়গাতে পায়রার অনেক রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে  । তাই নতুন ভাবে পায়রা পালন করতে হলে অব্যশই আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।পায়রা পালন করার সবচাইতে উত্তম সময় হল শীতের শেষে  । এ সময় মাঠে পর্যাপ্ত খাবার থাকে । তাছাড়া রোগ বালায় অনেক কিম হই ।

পায়রা পালন করার জন্য জায়গা নির্বাচন একটি গুরুত্ত পূর্ন বিষয় । পরিষ্কার উচু জায়গাই পায়রা ভালভাবে থাকতে পছন্দ করে । পায়রা পালন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টং বা বাসা পাওয়া যায় । তবে গোলা কবুতর টং ছাড়াও হাড়িতে থাকতে ভাল বাসে ।যাদের বাসায় হাড়ি ব্যবহার করা যাবে তারা গোলা কবুতরের জন্য হাড়ি ব্যবহার করবেন ।

পায়রার জন্য পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করতে হবে । কারন পায়রার বেশির ভাগ রোগ পানিবাহিত ।পায়রার খাবার মাটিতে দিবেন না এতে রোগ ছড়ায় । পায়রাকে নিয়মিত কৃমিনাশক দেয়া উচিত । এতে পায়রা বাচ্চা দেয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় ।নিয়মিত পায়রার বাসা পরিষ্কার করা ভাল ।সুতরাং ভালভাবএ নিয়ম মানলে আপনিও পালতে পারেন আপনার শখের পায়রা ।

সোনালু বা বাদরলাঠি


সোনালু বা বাদরলাঠি নাম শুনেনি এমন মানুষ খুব কমই  আছে । বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই সোনালু দেখা যাই । সোনালু মাঝারি ধরনের বৃক্ষ । তবে পুরনো হলে অনেক বড় হয় ।  সোনালুর অনেক ঔষুধি গুন রয়েছে  । বিশেষ করে ব্যথা বা পেট ব্যথা ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে সোণালূ ব্যবহার করা হয় । অনেক দেশে সোনালু রাস্তার পাশে শোভা বর্ধ্ণ করার জন্য ব্যবহার করা হয় । বসন্ত কাল সোনালু হ্লুদ রঙের ফুল ফোটে । যা অনেক প্রকৃতি প্রেমিদের আকষর্ন করে ।


সোনালুর ফুল

পায়রা

ছোট থেকে আমার খুব শখ ছিল আমি পায়রা পালন করব । কিন্তু টাকা , জায়গার জন্য তেমন সুযোগ হচ্ছিল না । গ্রামে বাসা তাই আমাদের অনেক কিছু মেনে চ...